শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
মোঃ ইসলাম হোসেন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:: সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ, তাড়াশ, উল্লাপাড়া উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে আসা ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদীটি প্রভাবশালীদের দখলের কারনে প্রায় বিলুপ্তির পথে।
সরেজমিনে প্ররিদর্শন করে দেখা যায় যে, বগুড়া করতোয়া নদীটি সলঙ্গা নদীর ডাল থেকে বয়ে আসা বনবাড়িয়া, বেতুয়া, চুনিয়াখাড়া, আমশড়া, শেমেরঘোণ, ঝুরঝুরি, চকঝুরঝুরি, আগরপুর, বোয়ালিয়া, শোলাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ভিতর দিয়ে তাড়াশের চলনবিলে মিলিত হয়েছে। বেতুয়া, নইপাড়া, আমশড়া চকঝুরঝুরি, বোয়ালিয়া ও শোলাপাড়ার প্রভাবশালীরা নদীর মধ্যে মাঝে মাঝে বাঁধ দিয়ে এমকি ব্রীজের মুখ বন্ধ করে ধান-চাষ ও পুকুর খনন করে মাছ চাষ করতে দেখা গেছে।
ভুক্তভোগি এলাকাবাসী নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাদিক মানুষ এই প্রতিবেদককে জানান, প্রভাবশালীরা ব্রীজের মুখ বন্ধ করে এমনকি বাধ দিয়ে পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ করছে যার ফলে বৃহত্তর এ এলাকার হাজার একর দুই ফসলি জমি থেকে এক ফসলি জমিতে পরিনত হয়েছে। বন্যা তো দুরের কথা সামান্য বৃষ্টি হলে আমাদের হাজার হাজার একর জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, এক সময় শুস্ক মৌসুমে প্রথম দিকে আমাদের এই নদীর পানি দিয়ে বীজতলা ও বোরো- রবি আবাদ করা যেত।বর্তমানে নদীটি প্রভাবশালীদের দখল ও বিভিন্ন স্থানে চড়পড়ে যাওয়ার কারনে। বর্তমানে নদীটি মরা ড্রেনে পরিণত হয়েছে। তারা আরো বলেন, এক সময় এই করতোয়া নদীতে পাওয়া যেত শোল, বোয়াল, টেংরা, শাটি, কই, মাগুর, পুঁটি, গজার, গুজা, গোচি বাইম সহ নানা ধরনের হরেক রকমের দেশীয় প্রজাতীয় মাছ। আগে বর্ষার পর শুস্ক মৌসুমে নদীতে পানি প্রবাহিত হতো। জেলেরা জাল দিয়ে দেশীয় মাছ ধরতো। বর্ষার পরে নদীতে পানি না থাকায় মাছ সহ নদীর অন্যান্য জীব বৈচিত্র্যের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়েছে। এরই মধ্যে দেশী অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
এ ব্যাপরে এলাকার অভিজ্ঞমহল প্রতিবেদককে জানায়, বনবাড়ীয়া বেতুয়া চুনিয়াখাড়া ঝুরঝুরি, বোয়লিয়া শোলাপাড়াসহ অন্যান্য গ্রামের উপুর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী অবৈধ দখলকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে নদী খনন করে এর গতিশীলতা ফিরে আনার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশু পদকক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয় ভুক্তভুগি চাষিরা জানান, আমরা এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে উল্লাপাড়া ৬৪-৪ আসের সাবেক মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযুদ্ধা জনাব আব্দুল লতিফ মির্জা এর কাছে আমাদের প্রয়োজনী ও কাগজ পত্র জমা দিয়েছিলাম। এছাড়া রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলা ভুমি অফিসসহ বিভিন্ন অফিসের সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের কাছে আমাদের প্রয়োজনীও কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।